লামা-আলীকদম প্রতিনিধি :: লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুর্গমে অবস্থিত পুরাতন লাইল্যা মুরুং পাড়ার ৮টি পরিবারের প্রায় ৭০ জন শিশু, নারী ও পুরুষ সবাই অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে গত শুক্রবার অজানা রোগে আক্রান্ত হয়ে দুতিয়া মুরুং (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সে পাড়ার মেনহাত মুরুং এর ছেলে ও পাড়ার প্রধান লাতুং কারবারীর নাতি। পাড়ার সকলের মাঝে অজ্ঞাত এই রোগ নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহামুদুল হক এর সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমাদের ধারণা এই রোগটি হাম হতে পারে। বছরের এই সময় হামের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আমরা দ্রুত ওখানে স্বাস্থ্য কর্মী পাঠাচ্ছি। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আগামী ১৯ তারিখ হতে সমগ্র লামা উপজেলায় হাম/রোবেলা রোগের টিকা দেয়া হবে। সহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. মো. কাইছারকে প্রধান করে স্বাস্থ্য সরকারি ফিলিপ মুরুং ও মংএচিং মার্মাসহ তিন সদস্যের একটি মেডিকেল টিম আজ রবিবার দুপুরে পাঠানো হয়েছে।
লাইল্যা পাড়ার প্রধান লাতুং কারবারী বলেন, কয়েকদিন যাবৎ আমাদের পাড়ার প্রতিঘরে ৬/৭ জন শিশু, নারী ও পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সবার গায়ে গুটি উঠেছে, প্রচণ্ড জ্বর ও সাথে খুব কাশি রয়েছে। পাড়ায় মোট ৮টি পরিবার আছে। সব ঘরের লোক অসুস্থ। অসুস্থ লোকজন খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এই অজানা রোগে আমার নাতি দুতিয়া মুরুং গত শুক্রবার মারা গেছে।
পাড়াটি লামা সদর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের তাউ পাড়ার উপরে ডলুঝিরি মুখের কিছুটা সামনে অবস্থিত। মুরুং সম্প্রদায়ের অসহায় লোকগুলোর পাশে দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে জানান স্থানীয় ইউপি মেম্বার সাধুরাম ত্রিপুরা। পাড়াটি লামা উপজেলা সদর হতে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত।
ওখানে ব্যবসা করতে গিয়েছেন এমন একজন ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের চকরিয়া নিউজকে বলেন, আজ রবিবার দুপুরে এখানে দেখি পাড়ার প্রতিঘরে ৬/৭ জন লোক অসুস্থ হয়ে পড়ে আছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় এখানে কোন হাসপাতাল ও ডাক্তার নেই। আক্রান্ত সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পাড়ার প্রায় সবাই অসুস্থ। রোগাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এখন কি করবে দিশা খোজেঁ পাচ্ছেনা। সরাই ইউপির পুরাতন লাইল্যা মুরুং পাড়ার বাসিন্দারা প্রশাসনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
পাঠকের মতামত: